বিশ্বসাহিত্যের
ইতিহাসে ‘প্রেম’ই বোধকরি সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। এমনকি
যেসব সাহিত্যিকেরা কোনদিন প্রেম নিয়ে কিছু লেখেননি, তারাও সুযোগ বুঝে প্রেম
সম্পর্কিত দু’একটা মন্তব্য করতে
পিছপা নন। জর্জ বার্নার্ড শ ছিলেন ঠোঁটকাটা ধরণের মানুষ। তিনি তো সরাসরি বলেই দিলেনঃ
‘প্রেম হচ্ছে সিগারেটের মত, যার শুরু
আগুন দিয়ে আর শেষ পরিণতি ছাইতে’।
আমাদের রবিবাবু আবার প্রেমের জন্য সবকিছু করতেই রাজী ছিলেন। তিনি গাইলেনঃ ‘চরণে ধরিয়া তব কহিব প্রকাশি, গোপনে
তোমারে, সখা,
কত ভালোবাসি’। অবশ্য, এসব বড় বড় মনিষীদের কথা বোঝা বড়ই দুষ্কর, এনাদের কথার
মাঝে অন্তর্নিহিত অর্থ মাঝে মাঝে কিঞ্চিত বিপরীতার্থক হওয়াও বিচিত্র নয়।
১৭ মে, ২০১৩
১৩ মে, ২০১৩
ইতস্তত কিছু কথকতা
সামনে ধূমায়িত কফির
কাপ।
বাইরে অঝোর বৃষ্টি,
ভেতরে
বিস্মৃতপ্রায় স্মৃতির
বাতাস,
দু’জনের মনে, স্কুল
জীবনের ঝড়ো হাওয়া।
মুখোমুখি একজোড়া
মানব-মানবী,
সামনে ধূমায়িত কফির
কাপ।
কোন এক ক্ষণিকের
রাস্তায়,
মিলেছিল তাদের মনের বাঁক, তারপর
কেটে গেছে দিন,
অনেকগুলো,
অর্থহীন কিছু নিথর
বছরের ফাঁদে।
২ মে, ২০১৩
প্রসঙ্গঃ সত্যজিৎ
সাবজেকটিভ ক্যামেরায় মাটির
মাইটের ভেতর
থেকে দূর্গার
বিড়াল বের
করা, অথবা
দোলনায় দুলতে
থাকা উচ্ছল
চারুলতার POV শট। এক ট্রলি
শটে বিরাট
বিয়ের অনুষ্ঠান
অথবা পালকির
সাথে চলতে
শুরু করা
ট্রলির ঘুমন্ত
অপুতে এসে
থেমে যাওয়া। অথবা...
অথবা...
গুরু, তুমি যা
করে দেখিয়েছো,
সেটা মুখে
বলতে গেলেও
হাজারটা মুখের
দরকার হবে। তাই
সেই চেষ্টা
আর করলাম
না।
কুরোসাওয়া'র কথাটাই আরেকবার বলে
যাইঃ সত্যজিৎ
রায়ের সিনেমা
যে দেখেনি,
সে পৃথিবীতে
বাস করেও
চাঁদ আর
সূর্য দেখেনি।
১৯৯২ সালে সত্যজিতের অনারারি
অস্কারের উদ্ধৃতিতে লেখা হয়েছিল, 'চলচ্চিত্র নির্মাণে তাঁর বিরল প্রতিভা এবং গভীর মানবিক
দৃষ্টিভঙ্গীর স্বীকৃতিস্বরূপ, যেটা সারা বিশ্বের চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং দর্শকদের স্থায়ীভাবে
প্রভাবিত করেছে।'
আজ (২রা মে
২০১৩) সত্যজিৎ
রায়ের জন্মদিন। তাঁর
সম্পর্কে বিভিন্ন
বিখ্যাত ব্যক্তিদের
অনুভূতি অনুবাদ
করে দিলাম।
শুভ জন্মদিন গুরু,
তুমি ছিলে
বলেই আমরা
আছি।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)