পৃষ্ঠাসমূহ

রাজনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাজনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

২ নভে, ২০১৩

স্মৃতি-বিস্মৃতির তাজউদ্দীন আহমদ

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। জন্মেছিলেন ঢাকার অদূরে কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে, ১৯২৫ সালের ২৩শে জু্লাই। নানান ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যে মানুষটি পরবর্তীকালে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের যুদ্ধদিনের কান্ডারী, এক নিঃসঙ্গ সারথী।

ছোট্টবেলাতেই এই মানুষটি দেশপ্রেম আর রাজনীতির দর্শন পেয়েছিলেন ব্রিটিশ রাজবন্দীদের কাছ থেকে। মানবতাবাদী এই মানুষটি স্কুলের ছুটিতে বাড়িতে ফিরেও লেগে যেতেন কলেরা রোগীদের সেবা শুশ্রষা করার কাজে। উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্নপূরণের জন্য লেখাপড়া করার ইচ্ছা তাঁর মধ্যে ছিলনা, তাঁর স্বপ্ন ছিল রাজনীতি করার, যে রাজনীতি হবে মানুষের জন্য। তবু অসাধারণ মেধার সাহায্যে তিনি কৃতিত্বের সাথে পেরিয়ে গিয়েছিলেন শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ধাপ। রাজনীতিতে সক্রিয় হবার কারণে শিক্ষাজীবনের ধারাবাহিকতায় ছেদও পড়েছিল বারবার। ধীরে ধীরে এই প্রচারবিমুখ মানুষটি নিজগুনে হয়ে উঠেছিলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের এক অপরিহার্য কর্মী, শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সহচর।


২৩ জুল, ২০১৩

বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন, সমসাময়িক বাংলাদেশ এবং আমি

Steve Jobs এর মত প্রথমেই বলতে চাই Truth be told, আমি বাংলাদেশের ইতিহাস এবং রাজনীতি সম্পর্কে খুবই কম জানি। ইতিহাস সম্পর্কে কম জানি এজন্য যে আমি এমন একটি সময়ে বেড়ে উঠেছি যখন নানান কারণে বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে এমন একটা টানাহ্যাঁচড়া টাইপ এর ব্যাপার হয়েছে যে কোনটা আসল আর কোনটা নকল এ বিষয় নিয়ে ওই অল্প বয়সেই সন্ধিহান ছিলাম। বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে সেই ধোঁয়াশা ভাব আজও পুরোপুরি যে গেছে তা জোর দিয়ে বলতে পারি না। আর বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে তথা বিভিন্ন সরকারি কার্যক্রম ও দেশের সামগ্রিক উন্নতির উপর আমার কোনদিনই আস্থা ছিল না। আর আশে-পাশে সবাই দেখতাম সেই ধুঁকে ধুঁকে চলা জীবনটাকে নিয়তি বলে মেনে নিয়ে সেখান থেকেই ফায়দা লুটার কাজে ব্যাস্ত। তাই যখন কলেজ এ পড়তাম তখন দেশের কথা কোন আলোচনায় উঠলে আমার একটা fixed dialogue ছিল। আমি বলতাম যে দেশের মানুষ তাদের জাতির জনক কে হত্যা করে, যে দেশে একটি বিশেষ শ্রেনীর মানুষ সে দেশটির জন্মের বিরোধিতা করেও সে দেশের শাসন ক্ষমতা প্রাপ্ত হয় এবং যে দেশের মানুষ কাশির ওষুধ খেয়ে নেশা করে সে দেশের কোনদিন উন্নতি হতে পারে না।


১৪ ফেব, ২০১৩

১৪ই ফেব্রুয়ারি ও আমাদের দায়বদ্ধতা



বাঙ্গালির জীবনে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি আসে ভিন্ন আবেদন নিয়ে, বিভিন্ন উদযাপন করার উপলক্ষ্য নিয়ে। সে উপলক্ষ্য হতে পারে সাংস্কৃতিক, হতে পারে রাজনৈতিক, হতে পারে এর বাইরেও। এই শেষ শ্রেনীভুক্ত বর্তমান প্রজন্মের প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয়টি হল ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইনস্‌ ডে।

এইদিনে ৫টাকার গোলাপ ২০, ৩০ বা তার থেকে বেশী টাকা দামেও বিকোয়। নবীন বয়সের সবার হাতেই ফুলের দেখা মেলে। সারা দেশে বেশ একটা উৎসব উৎসব ভাব তৈরী হয়। শাহবাগ থেকে টিএসসি, চারুকলা, বইমেলা সব জায়গায় দেখা যায় যুগলবন্দীদের ভিড়। শাহবাগের ফুলের দোকানগুলোর সামনের জায়গাগুলো লাল গোলাপের ঝরে পড়া পাঁপড়িতে লাল হয়ে ওঠে। তবু এই দিনে একসাথে ঘুরে বেড়ানো প্রেমিক-প্রেমিকাদের অনেকেরই অজানা থেকে যায় যে, আজ থেকে ২৯ বছর আগেকার ঠিক এই দিনেও রাস্তা রক্তাক্ত হয়েছিল। তবে সেটা গোলাপের পাঁপড়ি ছিল না, ছিল মানুষের বুকের তাজা রক্ত।


৬ জানু, ২০১৩

মান্টোর চোখে নৈরাজ্যময় দেশভাগ


আমরা ভাগ্যবান যে মান্টো একজন লেখক এবং পর্যবেক্ষকের দৃষ্টি দিয়ে বোম্বেতে বসে দেশভাগের সময়টাকে দেখেছেন। ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তিলাভের জয়ধ্বনির আড়ালে ঢাকা পড়ে যাওয়া সেইসব সঙ্কটময় দিনগুলোর হালচাল আর ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে খুব অল্পই জানা যায়। কিছুটা জানা যায় এমসি চাগলা নামের একজন বিচারকের আত্মজীবনীতে, কিছুটা রফিক জাকারিয়ার লেখায়। কিন্তু, মান্টোর সরল বর্ণনায় সেইসব দিনগুলো যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। ভারতীয়রা অনুভব করতে পারবে না যে সেই সময় তাদের শহরগুলো কতটা বিভক্ত ছিল এবং এই লেখা তাদের বিস্মিত করবে।

আবার পাকিস্তানে তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে মান্টো আমাদের বলেন, পুরো ব্যাপারটা কতটা মূর্খতায় পরিপূর্ণ ছিল। এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল 'উপার, নিচে অর দারমিয়া' নামের ১৯৫৪ সালের একটি সংকলনে।

পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস(Yom-e-Istiqlal), লেখক সা'দাত হাসান মান্টো