পৃষ্ঠাসমূহ

১৭ ফেব, ২০১৩

শাহবাগ আন্দোলনের গান


শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে অনেক শিল্পী অনেক গান তৈরী করছেন। আমি চেষ্টা করছি এই সবগুলো গানের ডাউনলোড লিঙ্কসহ একটি লিস্ট তৈরী করতে। আমি হয়ত কিছু শুনেছি, কিছু শুনিনি। তাই আপনাদের সাহায্য ছাড়া এটার পূর্ণতা পাওয়া অসম্ভব। এই লিস্টে যেগুলো বাদ পড়ে গেল তেমন গানের নাম, শিল্পীর নাম এবং সেটার একটি লিঙ্ক (শোনার বা ডাউনলোডের) আমাকে জানিয়ে দিলে আমি সেটা পোস্টে আপডেট করে দেব। আপনাদের সবার সাহায্য কামনা করছি। আগাম ধন্যবাদ।


গান ছাড়া অন্যান্য সাংস্কৃতিক প্রতিবাদগুলো পাওয়া যাবে এখানেঃ শাহবাগ আন্দোলন - অন দ্য কালচারাল ফ্রন্ট


১. গণদাবী - কবির সুমন

২. শাহবাগে রাতভোর - কবির সুমন


১৫ ফেব, ২০১৩

জননী সর্বংসহা


আমরা তখন যশোরে থাকি আমাদের বাসা ছিল একটা লম্বা গলির ভেতরে বাবা অফিসে যাওয়ার সময় আমরা ছোট্ট দুই ভাই-বোন গলির মুখে গিয়ে দাঁড়াতাম, মা থাকতেন বাসার গেটে বাবার মোটরসাইকেলটা চোখের আড়াল হয়ে যাওয়া মাত্রই আমাদের দৌড় শুরু হত দৌড়ে প্রথম হয়ে মা'কে স্পর্শ করার উদ্দেশ্যেই ছিল আমাদের ভাই-বোনের মধ্যেকার এই প্রতিযোগিতা মা'কে জড়িয়ে ধরতে পারাই ছিল এক পরমানন্দের উপলব্ধি আমার ছেলেবেলায় প্রাচুর্য ছিলনা সত্যি, কিন্তু বহু ছোট ছোট আনন্দের উপাদানে পূর্ণ ছিল সময়টা সেই সময়টার পুরোভাগে ছিলেন আমার মা, যাকে চাইলেই কাছে পাওয়া যেত, যার কাছে ছিল আমার সমস্ত আবদার


১৪ ফেব, ২০১৩

১৪ই ফেব্রুয়ারি ও আমাদের দায়বদ্ধতা



বাঙ্গালির জীবনে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি আসে ভিন্ন আবেদন নিয়ে, বিভিন্ন উদযাপন করার উপলক্ষ্য নিয়ে। সে উপলক্ষ্য হতে পারে সাংস্কৃতিক, হতে পারে রাজনৈতিক, হতে পারে এর বাইরেও। এই শেষ শ্রেনীভুক্ত বর্তমান প্রজন্মের প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয়টি হল ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইনস্‌ ডে।

এইদিনে ৫টাকার গোলাপ ২০, ৩০ বা তার থেকে বেশী টাকা দামেও বিকোয়। নবীন বয়সের সবার হাতেই ফুলের দেখা মেলে। সারা দেশে বেশ একটা উৎসব উৎসব ভাব তৈরী হয়। শাহবাগ থেকে টিএসসি, চারুকলা, বইমেলা সব জায়গায় দেখা যায় যুগলবন্দীদের ভিড়। শাহবাগের ফুলের দোকানগুলোর সামনের জায়গাগুলো লাল গোলাপের ঝরে পড়া পাঁপড়িতে লাল হয়ে ওঠে। তবু এই দিনে একসাথে ঘুরে বেড়ানো প্রেমিক-প্রেমিকাদের অনেকেরই অজানা থেকে যায় যে, আজ থেকে ২৯ বছর আগেকার ঠিক এই দিনেও রাস্তা রক্তাক্ত হয়েছিল। তবে সেটা গোলাপের পাঁপড়ি ছিল না, ছিল মানুষের বুকের তাজা রক্ত।


৪ ফেব, ২০১৩

প্রজন্মান্তরের গল্পঃ মাই ফাদার এ্যান্ড মাই সান

সেদিন কোথায় যেন পড়লাম, 'আমাদের বাবা-মা যে সঠিক ছিলেন এটা যখন আমরা বুঝতে পারি ততদিনে আমরা নিজেরাই বাবা-মা হয়ে গেছি' বাবা-মা এবং সন্তানদের মধ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্তের দ্বন্দ্বের ফলে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় তা সঞ্চারিত হয় এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে প্রজন্মান্তরের এই দূরত্ব সৃষ্টি মোচনের গল্পই বলা হয়েছে ২০০৫ সালের তুর্কি সিনেমা বাবাম ভে অগলুম বা মাই ফাদার এন্ড মাই সান

সময়কাল সত্তর দশক ইজমির এর কাছে একটি গ্রামে হুসেইন একজন অবস্থাপন্ন খামার মালিক তার দুই ছেলে সেলিম এবং সাদিক সাদিককে সে ইস্তাম্বুলে কৃষিকাজের উপর পড়তে পাঠায় তার পরে সাদিক খামারের হাল ধরবে এটাই তার প্রত্যাশা কিন্তু ইস্তাম্বুলে গিয়ে বাম রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে সাদিক হয়ে ওঠে একজন বামপন্থী সাংবাদিক এটা নিয়ে বাবার সাথে মতের অমিলের কারণে সে বাড়ি ছাড়ে, বাবা-মা প্রেমিকাকে পেছনে ফেলে জীবন এগিয়ে চলে, সাদিক ইস্তাম্বুলে বিয়ে করে, তার সন্তানের জন্মের সময় উপস্থিত হয় কিন্তু একই সময় ঘটে একটি মিলিটারি ক্যু এর মাঝে পড়ে সাদিক তার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছুতে পারে না রাস্তার পাশে তাঁর ছেলে ডেনিজকে জন্ম দেবার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় তার স্ত্রী