পৃষ্ঠাসমূহ

১৭ মার্চ, ২০১৩

সাংস্কৃতিক যুদ্ধক্ষেত্র ও শাহবাগ আন্দোলন


রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বাঙ্গালির দূর্বলতার কারণ হিসেবে অনেকে মনে করেন যে বাঙ্গালি জাতি চিরদিন শুধু শোষিত হওয়ার ফলে তারা শাসন করতে শেখেনি সেই পাল, সেন, মোঘল থেকে আরম্ভ করে ব্রিটিশ, পাকিস্তান আমল পর্যন্ত বাঙ্গালি জাতি শুধু বহিরাগতদের দ্বারা শাসিত হয়ে গেছে অবিরাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তাজউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন - আমরা আমাদের কর্মীদেরকে আন্দোলন করা শিখিয়েছি, দেশ গড়ার কাজ কিভাবে করতে হবে তা শেখাইনি তবে গোটা ব্যাপারটির উপর যদি বিপরীত দিক থেকে আলোকপাত করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে উপর্যুপরি শোষণের ফলে বাঙ্গালিমাত্রই জানে কিভাবে আন্দোলন করতে হয় আন্দোলন করা বাঙ্গালিকে শিখতে হয় না, আন্দোলন মিশে আছে বাঙ্গালির রক্তে এর প্রমাণ বাঙ্গালি দিয়েছে বারবার, বহুবার বাঙ্গালির এই আন্দোলন পরিপূর্ণতা পায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ নামের স্বাধীন ভূখন্ডের জন্মের মাধ্যমে


যেকোন আন্দোলনের প্রকৃতি অনুযায়ী এর বিভিন্ন দিক থাকতে পারে একটা আন্দোলন মূলত পরিচালিত হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক কূটনীতিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের মাধ্যমে তথ্য প্রচারের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তগুলো ছড়িয়ে পড়লেও এই সিদ্ধান্তগুলো মানুষের মনে বারবার অনুরণিত করে সেটা সাবলীলভাবে তাদের মনে গেঁথে দেওয়া সম্ভব সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধের সময় গণসঙ্গীতের ভূমিকার কথা আমরা জানি তারেক মাসুদের 'মুক্তির গান' এর কল্যাণে সেটা আমরা দেখতেও পেয়েছি চলচ্চিত্র মাধ্যমটির উত্থানপর্বের সূচনাই হয়েছিল অক্টোবর বিপ্লবের চেতনা ছড়িয়ে দেবার জন্য এজিটপ্রপ ট্রেনের কর্মকান্ডের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে নির্মিত জহির রায়হানের 'স্টপ জেনোসাইড', আলমগীর কবিরের 'লিবারেশন ফাইটার্স' ইত্যাদি চলচ্চিত্র পাকিস্তানী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশে এক দারুণ ভূমিকা রেখেছিল মুক্তিযুদ্ধের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা ছিল অসামান্য গান, খবর ইত্যাদির পাশাপাশি অসাধারণ জনপ্রিয় স্যাটায়ার 'চরমপত্র' ছিল যোদ্ধাদের মনোবল গঠনের অন্যতম হাতিয়ার অনেক সময় এই সাংস্কৃতির প্রতিবাদগুলো এতই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে মূল ঘটনা থেকে এটাকে আর আলাদা করা যায়না উদাহরণস্বরূপ বলা যায় 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গানটির কথা কালের আবর্তে এই গানটিই আমাদের ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সঞ্চারিত করেছে

এই সাংস্কৃতিক আন্দোলনে মাধ্যমের কোন সীমারেখা নেই গান, কবিতা, চলচ্চিত্র, স্থিরচিত্র, নাটক, পোস্টার ইত্যাদি যেকোন মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারে এই প্রতিবাদ লক্ষ্য করার মত আরেকটি ব্যাপার হল মূল আন্দোলন যত এগিয়ে যেতে থাকে তার সাথে তাল মিলিয়ে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের দর্শনেরও পরিবর্তন হতে থাকে যেমন 'তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর', 'মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি' এই গানগুলো শুনলে বোঝা যায় যে সামনে পথ অনেক কঠিন কিন্তু এই পথ পাড়ি দিতেই হবে, ফিরে যাবার পথ বন্ধ আবার সময়ের সাথে সাথে যখন পাকিস্তানী বাহিনী পর্যদুস্থ হতে লাগল তখন গানগুলোতে দেখা যেতে লাগল বিজয়ের স্বপ্ন এবং শুরু হল চরমপত্রের মত স্যাটায়ারিক প্রতিবাদ

শাহবাগ আন্দোলন শুরুর পরথেকেই সেটার প্রতি একটা বুদ্ধিবৃত্তিক সমর্থন যোগানোর উদ্দেশ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে যার যার অবস্থান থেকে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কেউ গেয়েছেন গান, কেউ লিখেছেন কবিতা, কেউবা আবার দিগা ভার্তভের মত ক্যামেরা হাতে নেমে পড়েছেন আন্দোলনের মূহুর্তগুলোকে সেলুলয়েডে বন্দী করে রাখার কাজে এসব প্রচারের জন্য প্রযুক্তির কল্যাণে আছে ইন্টারনেটের উন্মুক্ত দুনিয়া বাংলাদেশের বাইরে থেকেও তাই বাঙ্গালিরা অংশ নিতে পারছেন এই সাংস্কৃতিক প্রতিবাদে, একাত্ম হতে পারছেন শাহবাগ আন্দোলনের সঙ্গে

শাহবাগ নিয়ে তৈরী প্রথমদিকের গানগুলার মধ্যে যে ব্যাপারটি গুরুত্ব পেয়েছে সেটা হল আন্দোলনের সাথে সংহতি ঘোষণা এবং আন্দোলনের দাবীটি সুস্পষ্ট করে তোলার একটা চেষ্টা শতাব্দী ভব' 'ফাঁসির দড়ি' গানটি আন্দোলন নিয়ে শুরুর দিকের একটা গান এখানে বলা হচ্ছেঃ আমাকে এখনও মিছিল টানে/ জয় বাংলা স্লোগানে/ একসাথে বাঁচি একসাথে লড়ি/ একসাথে চল গীটারটা ধরি/ দাবীদাওয়া আজ ফাঁসির দড়ি তুহিন কান্তি দাসের 'যুদ্ধ হয়নি শেষ' গানটিতে দেখা যাচ্ছেঃ প্রহসন প্রহসন/ মানবে না জনগণ/ কে দিল কাল রায়/ কেন হল যাবজ্জীবন/ জনতার রায়/ কে পারবে ঠেকায়/ মৃত্যুদন্ড দাবী/ জানি বিজয় সর্বশেষ শাহবাগে ছিলেন এমন সবাই আরেকটি গান অবশ্যই সেখানে শুনেছেন, সেটা হল অমিত মল্লিকের 'শাহবাগ সঙ্গীত ২০১৩' এই গানটিতে কিছু শ্লোগান ব্যবহার করা হয়েছে গানটিতে গাওয়া হচ্ছেঃ আজ কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবিতে একাত্ম হয়েছি/ আজ হিসাব চাই এতদিন যত বঞ্চনা সয়েছি/ আবার একাত্তর/ শাহবাগ জেগে ওঠো কবির সুমনের প্রথম গান 'গণদাবী'তে তিনি বলছেন, 'যার যা পাওনা তাকে সেটা দাও গণদাবী একটাই' চিরকূট ব্যান্ড 'তুই রাজাকার' গানটিতে এক দফা এক দাবীর মতই জানিয়ে দিলেনঃ আর কিছুতো চাইনা ওদের ফাঁসি দিয়ে দেননা

'একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার' এর মত স্লোগানগুলো ততদিনে শাহবাগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে থিয়েট্রিক্যাল রক ব্যান্ড শহরতলী তাদের 'গণজোয়ার' গানটিতে রক ধাঁচে ব্যবহার করলেন বেশ কিছু স্লোগান তারা গাইলেনঃ দুর্গম স্বাধীনতা/ রক্ষা করো মুক্তির সীমানা/ স্বাধীনতা তবে/ বেঁচে থাকার অঙ্গীকার সজীব তাঁর 'জ্বলে শাহবাগ' গানটিতে শাহবাগকে দাঁড় করালেন আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের রূপক হিসেবেঃ ন্যায়বিচারের দাবী নিয়ে প্রজন্ম চত্বরে/ দু'হাজার তেরো মিলিয়ে যায় উনিশশো একাত্তরে/ আমার দেশ আমার মাটি আলবদরের নয়/ যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবে বাংলাতে নিশ্চয় তন্ময় শাহরিয়ার গাইলেনঃ আজও রক্তপাত ঘটে/ এই বাংলার বুকে/ একাত্তরের সেই/ হায়েনাদের হাতে/ মুক্তিযুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি/ গণজাগরণের ডাক দিচ্ছে প্রজন্ম কবীর সুমন একই সুরে গলা মেলালেনঃ শাহবাগে রাতভোর/ স্মৃতিতে একাত্তর/ নব ইতিহাসে সাক্ষী রইল প্রজন্ম চত্বর

আন্দোলনের বয়স বাড়ছে ধীরে ধীরে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে শাহবাগ নিয়ে স্বপ্ন দেখছে মানুষ দ্য ব্রাদারহুড প্রোজেক্ট গাইলেনঃ কোন আপোষ নয়/ এভাবেই আসে জয়/ শুধু রুখে দাঁড়াতে হবে/ যতক্ষণ না হয়/ বিচার ওদের/ প্রতিবাদ করে যেতে হবে/ শকুন ছিঁড়ে খাচ্ছে যখন মানচিত্রটাকে/ মোড়ে মোড়ে প্রতিবাদ হোক চত্বর শাহবাগে সারাদেশে তিন মিনিট নীরবতা পালন নিয়ে সুমন শাহবাগকে গোটা বাংলাদেশের প্রতিকৃতি কল্পনা করে গাইলেনঃ তিন মিনিটের জন্য/ শাহবাগ হল দেশ/ তিন মিনিটের জন্য/ দেশটাই শাহবাগ পৃথ্বিরাজ আমাদের জানালেনঃ দেশটাকে ঘর করে/ শাহবাগে আছি আমি/ শাহবাগে আছি

হঠাৎ ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর হাতে খুন হলেন ব্লগার রাজীব তাঁর উদ্দেশ্যে সুমন গাইলেনঃ শহীদ রাজিব হায়দার/ আমার সালাম নাও/ এই দুনিয়ায় শাহাদাত বৃথা যায় না' একটাও/ তোমার রক্তে রাঙা/ বিপুল অঙ্গীকার/ যোগ্য বিচার পাবে একদিন খুনী আর রাজাকার ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যখন ধর্মকে শাহবাগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চাইল তখন সেটার জবাবও দেওয়া হল গানে গানে প্রতুল মুখোপাধ্যায় গাইলেনঃ ধর্মের নামে নিপীড়ন আর ধর্মের নামে খুন/ রুখতে দাঁড়ালো বাংলাদেশের তরুণী আর তরুণ রাজীব হাসান চৌধুরী বললেনঃ আমি হিন্দু তুমি মুসলিম/ এক মায়ের পেটের ভাই/ আজ মায়ের চোখের অশ্রু মোছাতে খুনিদের ফাঁসি চাই/ আমি নাস্তিক তুমি ধার্মিক/ এক মায়ের পেটের ভাই/ আজ লাল সবুজের পতাকা তলে খুনীদের ফাঁসি চাই সমগীত থেকে গাওয়া হলঃ ধর্ম যার যার/ দুনিয়া সবার/ ধর্ম যার যার/ বাংলা সবার

প্রবাস থেকে অচিন্ত্য দাস গাইলেনঃ কিলোমিটারে বার হাজার আর/ মাইলে হাজার সাত/ এত দূর থেকেও সাথে আছি/ জেনো স্বপ্নের শাহবাগ ভিন্নধর্মী উপস্থাপনা গনজাগরণ মঞ্চের পুঁথি নিয়ে হাজির হল শাবিপ্রবি প্রজন্ম চত্বরঃ তে চামচা পাকিস্তানের/ তে ছাগু বাংলাদেশের/ তে জামাতের বেশে/ তে ঝরায় রক্ত দেশের

নেগেটিভ এ্যাটিচিউড থেকে জহির রায়হানের 'আরেক ফাল্গুন' উপন্যাস অবলম্বনে শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে নির্মাণ করা হয় শর্টফিল্ম 'আবার ফাল্গুন' সেখানে একটি চরিত্রের 'আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হব' এই সংলাপের সাথে সাথে মিলিয়ে দেওয়া হয় শাহবাগ আন্দোলনের প্রজন্ম চত্বরকে শাহবাগ আন্দোলনের ১৭তম দিনটিকে টাইম-ল্যাপস ফটোগ্রাফীর মাধ্যমে ধারণ করা হয় 'শাহবাগঃ এ্যান ওশ্যান ইন দ্যা মেকিং' ডকুমেন্টরীতে ঐদিনের সমগ্র কর্মকান্ডের উপরে একটি দারুণ ডকুমেন্টেশন এটি লন্ডনে নির্মিত মাহদী হাসানের 'প্রজন্ম চত্বর - যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই' ডকুমেন্টরীতে উঠে এসেছে শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশীদের দৃষ্টিভঙ্গী, ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর অপপ্রচারসহ বিভিন্ন বিষয় স্যান্ড আর্টের মাধ্যমে শাহবাগ আন্দোলনকে ফুটিয়ে তুলেছেন 'কোশিক বোস এর স্যান্ড র্ট' শাহবাগের মূল মঞ্চ ছাড়াও আশেপাশের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাসের ডকুমেন্টরী 'বাংলাদেশ কাঁপানো ফেব্রুয়ারির বারো ঘন্টা' এছাড়াও 'দ্যা কল' নামের একটি ডকুমেন্টরীতে শাহবাগ আন্দোলনের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত একটি সচিত্র বর্ণনা পাওয়া যায় এসবের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধকালীন চরমপত্রের আদলে এখন পর্যন্ত তৈরী করা হয়েছে 'চরমপত্র ২০১৩' এর ছয়টি পর্ব। এছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে ডিজাইন করা হয়েছে অসংখ্য পোষ্টার।

শাহবাগ আন্দোলন এখনও চলছে শেষ পর্যন্ত এর ফলাফল কি হবে আমরা জানি না কিন্তু জাতির জীবনে এর প্রভাব অবশ্যম্ভাবীভাবে পড়েছে তাই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই সাংস্কৃতিক প্রতিবাদগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত, কারণ সংস্কৃতির মাধ্যমে গড়ে ওঠে সংগঠন একটা জাতির সংগঠনগুলো যত শক্তিশালী, সেই জাতি তত শক্তিশালী এখন হয়ত অনেকের কাছে এইসব ব্যাপারগুলো অর্থহীন আর অপ্রয়োজনীয় লাগতে পারে কিন্তু সময়ের সাথে এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে পেতেই হবে, ইতিহাস তাই বলে দিগা ভার্তভের কথা বলে শুরু করেছিলাম, সেটা দিয়েই শেষ করি দিগা ভার্তভ ছিলেন একজন পাগলা ফিল্মমেকার, আসল নাম ছিল কাউফম্যান তিনি সারা রাশিয়ায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের জীবন ক্যামেরায় ধারণ করে বেড়াতেন এইজন্য তার নামই হয়ে গিয়েছিল 'দিগা ভার্তভ' অর্থাৎ 'ঘুরন্ত লাট্টু' তাঁর এই পাগলামি সেই সময় এতটা গুরুপ্তপূর্ণ মনে না হলেও এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন ১৯২০ দশকে রুশদেশের জীবনযাত্রা সম্পর্কে কেউ জানতে চাইলে সহজ উপায় হিসেবে ভার্তভের ফুটেজ ছাড়া গত্যন্তর নেই ভাগ্যিস দিগা ভার্তভ ছিলেন! আমি আশা করি শাহবাগ আন্দোলনের সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো সংরক্ষণে কেউ না কেউ এগিয়ে আসবেন, আমাদের পরের প্রজন্ম যার নাম উল্লেখ করে বলতে পারবে - ভাগ্যিস উনি ছিলেন!


অরিন্দম গুস্তাভো বিশ্বাস
১৩ মার্চ ২০১৩
ঢাকা

লেখাটি 'বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ' এর প্রকাশনা ‌‌'প্রগতি', শাহবাগ আন্দোলন বিশেষ সংখ্যায় 'সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে শাহবাগ' শিরোনামে প্রকাশিত