পৃষ্ঠাসমূহ

৩০ জানু, ২০১৩

একদিন সময় বদলে যাবে


একদিন সময় বদলে যাবে,
তোমার তিরস্কারের সকল পথ,
সহস্র ফোঁটা চোখের জলকে অতিক্রম করে।

কষ্টগুলো তোমার মনে থাকবে না জানি,
কারণ সূর্যালোকে কেটে গেছে সমস্ত মেঘ,
বর্ষাকালও তখন হয়ে যাবে রঙিন বসন্ত।


১৬ জানু, ২০১৩

মেয়েটির জন্য কবিতা


হলুদ সবুজ টিপ পরা মেয়েটা
            আর জানতে চায়না
                        আমি তাকে ভালবাসি কিনা!

চোখের উপর কাটাদাগ নিয়ে মেয়েটা
            আমাকে শোনায়না আর
                        গভীর রাতের কবিতা


৭ জানু, ২০১৩

খুনসুটি


জানুয়ারী ২, ২০১৩। সুমন আর তিন্নির বেকায়দা ভালবাসার ৬ষ্ঠ বর্ষ পূর্তি আর ৭ম বর্ষে পদার্পন। দেখতে দেখতে কেটে গেছে বহু দিন, বহু বছর। ভালবাসা কমেনি লেশমাত্র, বেকায়দাও আছে ঠিক আগের মতই।

সুমন আগের মতই লেট লতিফ আছে, তিন্নি আছে আগের মতই উচ্ছল। ছয় বছরের পথচলা শেষে দুইজন দুইজনকেই সমানভাবে বুঝতে পারে। সমস্যা একটা আছে, সেটা সুমনের। তিন্নির রাগ করার ব্যাপারটা সে এখনও ঠিক ধরতে পারে না। মাঝে মাঝে আন্দাজ করতে পারলেও সেই রাগের কারণটা বুঝতে পারে না কখনোই। আর তিন্নির রাগ করার মানেই হল ইয়া বড় বড় চোখগুলো মুহূর্তে পানিতে ভরে ওঠা। এটা হল আরেকটা কঠিন বেকায়দা।


৬ জানু, ২০১৩

মান্টোর চোখে নৈরাজ্যময় দেশভাগ


আমরা ভাগ্যবান যে মান্টো একজন লেখক এবং পর্যবেক্ষকের দৃষ্টি দিয়ে বোম্বেতে বসে দেশভাগের সময়টাকে দেখেছেন। ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তিলাভের জয়ধ্বনির আড়ালে ঢাকা পড়ে যাওয়া সেইসব সঙ্কটময় দিনগুলোর হালচাল আর ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে খুব অল্পই জানা যায়। কিছুটা জানা যায় এমসি চাগলা নামের একজন বিচারকের আত্মজীবনীতে, কিছুটা রফিক জাকারিয়ার লেখায়। কিন্তু, মান্টোর সরল বর্ণনায় সেইসব দিনগুলো যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। ভারতীয়রা অনুভব করতে পারবে না যে সেই সময় তাদের শহরগুলো কতটা বিভক্ত ছিল এবং এই লেখা তাদের বিস্মিত করবে।

আবার পাকিস্তানে তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে মান্টো আমাদের বলেন, পুরো ব্যাপারটা কতটা মূর্খতায় পরিপূর্ণ ছিল। এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল 'উপার, নিচে অর দারমিয়া' নামের ১৯৫৪ সালের একটি সংকলনে।

পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস(Yom-e-Istiqlal), লেখক সা'দাত হাসান মান্টো


১ জানু, ২০১৩

একমুঠো বেকায়দা ভালবাসা


ডিসক্লেইমারঃ এই গল্পের প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক নয়। জীবিত বা মৃত যেকোন ব্যাক্তির সাথে কিঞ্চিত অথবা পুরোপুরি সাদৃশ্য সম্পূর্ণ কাকতালীয় না হলেও হতে পারে।

এই সুমন তোমার মোবাইল নম্বরটা দাও তো
ভুল শুনলাম নাকি? আমি নাম্বার দিতে ইচ্ছুক কিনা এই মেয়ে সেটার পরোয়াই করল না? সরাসরি চেয়েই বসল? বেকায়দা অবস্থা। এই মেয়েকে তো আমি চিনি না। আমার বন্ধুর বন্ধু। কমার্স কলেজের মাঠে কিছুক্ষণ শুধু বসে ছিলাম সবার সাথে, হয়ত তখন নামটা শুনে থাকবে। আমি সন্দেহের গন্ধ পাচ্ছি। মেয়েদের কাছ থেকে যতটা দূরে থাকা যায় ততই মঙ্গল। এই মেয়েটাকে দেখে অবশ্য সেইরকম কিছু মনে হচ্ছেনা। বিশাল ঢোলা একটা ফতুয়ার সাথে জিন্সের প্যান্ট পরা। কাঁধে একটা ঝোলা টাইপের ব্যাগ। তার চুল নিয়ে একটু আগেই আমার বন্ধুরা যখন ঘোড়ার লেজ বলে ক্ষেপাচ্ছিল তখন সেটাতে সে কিছুটা গর্বিত হল বলেই মনে হল। এসবের মাপকাঠিতে তাকে এই মাঠে বসে থাকা অন্য সব মেয়েদের থেকে আলাদাই মনে হচ্ছে। অবশ্য সন্দেহের কারন ভিন্ন। আমি এমন কোন রাজপুত্তুর ছেলে নই যে হঠাৎ কোন মেয়ে আমার নাম্বার চাইবে। আমার মা-বাবাকে আমার এমনিতেই অনেক ভয়। ঘরপোড়া গরু সিঁদূরে মেঘ দেখলেই ডরায়- আমার হল সেই অবস্থা। পরে আবার কি ঝামেলায় পড়তে হয় কে জানে! নিজেরই ঘটি-বাটির কোন ঠিক নাই।