পৃষ্ঠাসমূহ

কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

৩১ মে, ২০১৫

বছর ঘুরে অতন্দ্রিলা

আমি প্রতিদিন নিজেকে অতিক্রম করে যাচ্ছি,
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে স্পর্শ করে করে—
আমি অতিক্রম করে যাচ্ছি তোমার মায়াময় দু'টি চোখ,
গালভেজা তোমাকে আমি যাচ্ছি পেছনে ফেলে,
যুদ্ধে যাওয়া সৈনিকের মত, মাথায় শিরস্ত্রাণ চাপিয়ে
আমি রেখে যাচ্ছি জীবনের সমস্ত ক্লেদ,
যত আশা, যত প্রেম, যত ভালবাসা—
তোমার-আমার বর্ণিল সময়ের কবিতা,
ক্রমশ গ্রাস করে নিচ্ছে এক বিষণ্ন ঋণাত্মক কুয়াশা,
আমাদের আকাশে স্বপ্নঘুড়ির ছেঁটে ফেলা ডানা,
সপ্তাহশেষ রাত্রির রানওয়ের জানালা—
—অতন্দ্রিলা—
তোমার নীল রঙের শাড়ী—কমলা রঙের রোদ,
স্মিত হাস্যে কঠোর কপট ক্রোধ,
অতীত—ভীষণ অতীত হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন,
বিপন্ন কাঁচপোকারা ঘুমিয়ে গেছে সেই কবে—
জোনাকিরাও নীরব হয়েছে অপ্রেমের ফাঁদে,
মেঘ ছুঁয়ে ওড়া ক্লান্ত বুনোহাঁসের মত,
নিওলিথ জ্যোৎস্নায় ওরা ফিরে যাবে আজ,
আকাশের যত নক্ষত্র—উজ্জ্বলতম তারা—
নিয়ে চলে যাবে মহীনের ঘোড়া—অথবা
জীবনানন্দের হন্তারক ট্রামে চেপে নির্জনতার সুর, আজ—
বিপরীত দিকে আরও বহুদূর—বহুদূর চলে যাব আমরা।।


১৭ ফেব, ২০১৫

বরফসন্ধ্যায় অরণ্যের ভেতর — রবার্ট ফ্রস্ট

এই অরণ্য যার—মনে হয় যেন আমি তাকে চিনি,
নিবাস তাঁর ঐ দূর গ্রামের ধারে,
জানবে না সে থমকে দাঁড়িয়ে দেখছি আমি—
স্নিগ্ধ বনভূমি ঢেকে যাচ্ছে ধবল তুষারে।

ভাবছে ঘোড়া এখানে থামছি কেন,
আশেপাশে নেই তো কোন খামারের আশ্রয়,
বিস্তৃত অরণ্যানী আর জমাট হ্রদের ধারে,
এই শীতল সময়ের অন্ধকারাচ্ছন্ন সন্ধ্যায়।


১৮ নভে, ২০১৪

ক্লান্তদিনের শেষে

মেঘঝরা প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটায় মাটি ছোঁয় বিষন্নতা
দূর্যোগের রাতে আশ্রয় খোঁজে নিরুপায় ঘাসফড়িং
ক্ষীন আরও ক্ষীন হয়ে আসে দোয়েলের কণ্ঠস্বর
নিরাপদ বাঁশবাগানে জড়ো হয় চাঁদের ছায়ারা।


১৩ অক্টো, ২০১৪

স্পর্শ সময়

প্রথমে আমি দিন গুনতাম, তারপর সপ্তাহ!
একসময় অবাক হয়ে দেখলাম,
সাতদিনের সপ্তাহের বাঁধনে আর ধরা যাচ্ছেনা সময়টাকে!
অনন্যোপায় হয়ে মাসের সাহায্য নিলাম তারপর।
একদিন মাসের হিসেবও ফুরিয়ে এল,
আমি গুনতে শুরু করলাম বছর।


৭ সেপ, ২০১৪

দেজ্যা ভ্যু

ভেসে বেড়ানো অনুভূতিগুলো আমার খুব চেনা,
যেন কতকালের পরিচিত দেজ্যা ভ্যু।

আবছায়া রাস্তায় একটা নির্মানাধীন হাইরাইজের পাশে,
ডাগর চোখের বৃষ্টি আটকিয়ে মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকে,
তপ্ত দুপুরে পদ্মার চিকচিক করা পানি যেন,
হঠাৎ তার দু'চোখে এসে স্থির হয়।


১৩ জুল, ২০১৪

তথাকথিত আনন্দনগরী

আলো ঝলমলে উৎসব,
চাকচিক্যময় ত্রিমাত্রিক আলোছায়া,
সুউচ্চ ভবন, অনুচ্চ সন্মান।
ভেসে আসে তাদের উদ্দাম উল্লাস,
বেমানান ফকিরটি কান পেতে শোনে।

পারফিউম আর হাইহিলের আঘাতে,
রক্ত ঝরে পথের ফকিরের ক্ষতে,
গাড়িটি এসে দরজা খুলে দাঁড়ায়।
পলিশড্‌ শু হেঁটে আসে বুকের উপর পা রেখে,
দম বন্ধ হয়ে আসে বৃদ্ধ ফকিরটির।


১৭ মার্চ, ২০১৪

পুরাতন বনলতা সেন

হোক সে লাল-কাল জামা পরা মেয়েটি,
অথবা হোক না নাটোরের বনলতা সেন!
আশায় থাকি ডাক দিয়ে বলবে সে
এ্যাঁই যে স্যার, এতদিন কোথায় ছিলেন?

গভীর রাতে মোবাইলের অপর প্রান্তে,
অথবা কোন দারুচিনি দ্বীপের ভিতর
হয়ত তার চোখে জ্বলে কপট আগুন,
আরও থাকে অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার



২৩ ফেব, ২০১৪

প্রিয় অতন্দ্রিলা

অতন্দ্রিলা,
তুমি জানলেনা কোনদিন,
তোমার মুখে ঐ কথাটি শোনার
সেই কাঙ্খিত মুহূর্তটির জন্য
আমি অপেক্ষা করেছি কতকাল,
কত হাজার রাত নির্ঘুম থেকেছি,
শুধু সেই অনুভূতি—
তোমার মুখের হাসি,
অনুভবের প্রস্তুতি নিতে—
শিমুল তুলোর মত উড়ে
আলতো করে তোমার গাল ছুঁয়ে
কানে গোঁজা গোলাপের পাঁপড়ি হয়ে
আমি কোন অতীতে হারিয়ে গেছি তোমাতে—
অতন্দ্রিলা,
জানোনি তুমি, জানবে—
হঠাৎ আমিহীন কোন এক নক্ষত্র-ছাওয়া রাতে।।


১৭ ফেব, ২০১৪

জীবনানন্দের 'মনিয়া'

জীবনানন্দ দাশের কবিতায় 'মনিয়া' নামটি খেয়াল করেছিলাম আগেই, তবে এটা কোন ব্যক্তির নাম নাকি মনিয়া/মুনিয়া পাখির কথা বলা হচ্ছে সেটার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম না। সেদিন পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম মনিয়া ছিলেন জীবনানন্দের প্রথম প্রেমিকা। তাদের দেখা হয়েছিল বরিশালের একটি গির্জায়। যদিও সেই সূত্র এই তথ্যটিকে 'কথিত আছে' বলে প্রকাশ করছে, তবু সত্য-মিথ্যা যাই হোক এই ব্যাপারটা কিছুটা উল্টে-পাল্টে দেখা যেতে পারে।


আপাতত দুইটি কবিতার কথা মনে পড়ছে যেখানে 'মনিয়া' নামটির উল্লেখ আছে। একটিতে পাওয়া যাচ্ছে কোন এক রূপসীর কথা, আরেকটিতে দেখা যাচ্ছে ফেলে আসা এক প্রেয়সীকে ফিরে পাবার আকুতি।



৮ ডিসে, ২০১৩

জন লেনন স্মরণে কবিতাঃ সত্যপ্রলাপ

জন, কেমন আছ তুমি?
অনেক অভিমান আমাদের উপর
তাইনা?

তুমি কি জান,
ওনো তোমার জন্য এখনও কাঁদে
প্রতিরাতে?

তোমার শরীরে,
বুলেটের ক্ষত, রক্তমাখা চশমা
আমরাই অপরাধী।


২৫ নভে, ২০১৩

দায়মুক্তির কবিতাঃ লাশের মিছিলে

লাশের উপর লাশ,
লাশের নীচে লাশ।
নিষ্ফল আক্রোশ,
আর ভীষণ অবিশ্বাস!

আগুনে পোড়া লাশ,
থেৎলে যাওয়া লাশ।
আমাদের ভন্ডামী,
আর বেঁচে থাকার আঁশ!


১৩ নভে, ২০১৩

জনৈক মানুষী

শরীরে মিশে থাকে মানুষীর প্রেমের ঘ্রাণ,
বাতাসে ওড়ে এলোমেলো চুল,
কাশবনের শ্বেত-শুভ্র অন্ধকারে,
কুয়াশা ঢাকা শাড়ীর আঁচল

ডাগর চোখ দু'খানি আনমনে চেয়ে থাকে,
মায়াময় ঝুলে থাকে নক্ষত্রের মতন,
নোনা গন্ধে আচ্ছন্ন হয়ে ধূসর আকাশ,
মাতাল সমীরণে ভাসে আশ্চর্য সুখ-বেদন



২৯ অক্টো, ২০১৩

প্রিয়তমা তোমার জন্য

চেয়ে দেখ প্রিয়তমা,
কত বছর গেল কেটে,
হাতে হাত রেখে
ভালবাসা দিয়েছি জমা।

তোমায় নিয়ে জলকন্যা,
স্বচ্ছ পানিতে পা ডুবিয়ে,
চোখে চোখ রেখে
থেকে গেছি দু'জনের দুজনা।


৭ জুন, ২০১৩

আরাধ্য আঁধারে

একদিন সত্যি চলে যাব,
          এক প্রচন্ড ঝড়ের রাতে,
হারিয়ে যাব হঠাৎ
          কোন ধবল বজ্রালোকে।

দমকা বাতাস পেরিয়ে
          কোন আপন ঘরের সন্ধানে,
ঝিরিঝিরি বাতাসে যেখানে
          দোল খাবে অলীক প্রজাপতি।

দু'পায়ে কাদামাটি লাগিয়ে
          হেঁটে যাব বহুদূর পথ,
আকাশের প্রান্তে জমে থাকা
          সোনারোদের প্রলোভনে।


৩ জুন, ২০১৩

বস্ত্রবালিকারা

তুমি আমাদের কষ্টের কথা জানতে চাও?
তুমি কি জান কষ্ট কাকে বলে?
কষ্টের রঙ কি জান তুমি?
একবুক স্বপ্ন নিয়ে জীবনে ঠকে যেতে যেতে,
জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো বেচে ফেলতে,
এ কেমন কষ্ট তা কি তুমি বুঝবে কোনদিন?

জানতে চাও আমরা কেমন আছি?
ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকার মানে কি তুমি বুঝবে?
গাড়ি আর হাইরাইজের শহরে বসে,
গ্রামে ফেলে আসা স্মৃতির কাতরতা,
আমার আশায় তাঁদের তাকিয়ে থাকাটা,
তুমি কি অনুভব করতে পারবে?


১৩ মে, ২০১৩

ইতস্তত কিছু কথকতা


মুখোমুখি একজোড়া মানব-মানবী,
সামনে ধূমায়িত কফির কাপ।

বাইরে অঝোর বৃষ্টি, ভেতরে
বিস্মৃতপ্রায় স্মৃতির বাতাস,
দুজনের মনে, স্কুল
জীবনের ঝড়ো হাওয়া।

মুখোমুখি একজোড়া মানব-মানবী,
সামনে ধূমায়িত কফির কাপ।

কোন এক ক্ষণিকের রাস্তায়,
মিলেছিল তাদের মনের বাঁক, তারপর
কেটে গেছে দিন, অনেকগুলো,
অর্থহীন কিছু নিথর বছরের ফাঁদে।


১৭ এপ্রি, ২০১৩

এখনও

এখনও রৌদ্রতপ্ত কোন বিষন্ন দুপুরে,
সঙ্গীকে খুঁজে যায় কোন একেলা ঘুঘু
এখনও নিশ্চুপ রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে,
হুইসেল দিয়ে যায় এক ব্যথিত ট্রেন ইঞ্জিন

এখনও হেঁটে চলা মানুষের সমুদ্রে,
হঠাৎ উঁকি দেয় কোন পরিচিত মুখ
এখনও মরা নদীর বিস্মৃতপ্রায় জলের রেখা,
চিকচিক করে ওঠে প্রথম সূর্যের আলোকে


৩০ জানু, ২০১৩

একদিন সময় বদলে যাবে


একদিন সময় বদলে যাবে,
তোমার তিরস্কারের সকল পথ,
সহস্র ফোঁটা চোখের জলকে অতিক্রম করে।

কষ্টগুলো তোমার মনে থাকবে না জানি,
কারণ সূর্যালোকে কেটে গেছে সমস্ত মেঘ,
বর্ষাকালও তখন হয়ে যাবে রঙিন বসন্ত।


১৬ জানু, ২০১৩

মেয়েটির জন্য কবিতা


হলুদ সবুজ টিপ পরা মেয়েটা
            আর জানতে চায়না
                        আমি তাকে ভালবাসি কিনা!

চোখের উপর কাটাদাগ নিয়ে মেয়েটা
            আমাকে শোনায়না আর
                        গভীর রাতের কবিতা