পৃষ্ঠাসমূহ

২৭ ডিসে, ২০১৪

অমলেন্দু কবি হতে চেয়েছিল

সেদিন প্রবল বর্ষণে চারিদিক অন্ধকার। আষাঢ় যেন পূর্ণোদ্যমে নেমে এসেছিল আকাশ ফুঁড়ে। হঠাৎ বৃষ্টির গন্ধে মাতাল পরিবেশ। বাইরে মানুষপাখিরা দিশেহারা। ওপাশের নারিকেল গাছগুলো যেন তীব্র বাতাসে মাটি ছুঁতে চাইছিল। শক্তিশালী বিজলি চমকে সারা আকাশ ভয়ানক সাদা আলোয় আলোকিত হয়ে যাবার পরমুহূর্তেই গুড়গুড় শব্দে কোন দানব যেন প্রকৃতিকে ভেঙে ফেলছিল প্রচণ্ড আক্রোশে। বাড়িতে সেদিন ছিল না কেউ। পরিবার গেছে সপ্তাহখানেকের জন্য অন্য একটি শহরে বিয়েতে যোগ দিতে। অফিসের ব্যস্ততায় থেকে গেছি আমি। কাজের মানুষগুলো সব যে যার মত আরাম করে ঝিমুচ্ছে এই বৃষ্টিস্নাত দুপুরে। এই দূর্যোগের মধ্যে কলিংবেলের আওয়াজে প্রথমে কিছুটা বিরক্তই হয়েছিলাম। দরজা খুলতেই পিয়ন বাড়িয়ে দিল একটি পার্সেল, তার সাথে সাঁটা একটি সস্তা খাম। ধন্যবাদ দিয়ে সেগুলো নিয়ে এলাম। পার্সেলটা রেখে খামটাই হাতে তুলে নিলাম প্রথমে। অতঃপর সেই খাম থেকেই বেরুল সংক্ষিপ্ত চিঠিটি। সংক্ষিপ্ত হলেও মূল সংবাদ তাতে পরিষ্কার।