পৃষ্ঠাসমূহ

২৭ জুন, ২০১৩

কিংবদন্তির বিদায়!

'এ্যাই তোর রোল নম্বর ৩১ ছিলনা?'

আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে যাই। আমতা আমতা করতে থাকি। স্কুল ছেড়েছি প্রায় ৬-৭ বছর আগে। রোল নম্বর কত ছিল সেটা তো মনে নাই।

'ক্লাশ নাইনে ৩১ ছিল তো নাকি?', স্যার আবারও জানতে চান।

এইবার আমার মনে পড়ে যায়। সেন্ট জোসেফস্‌ স্কুলে আমি যখন ভর্তি হই তখন ৩১ নম্বর রোলটা ফাঁকা ছিল তাই আমাকে সেটাই দেওয়া হয়েছিল। আমি স্যারের অসাধারণ স্মৃতিশক্তি দেখে অবাক হই।

এই ঘটনা প্রবাহের শুরু হয়েছিল বহুবছর আগে...


১৪ জুন, ২০১৩

চে’ গুয়েভারাঃ একটি বিপ্লবী জীবন


আর্নেস্তো চে গুয়েভারা (স্প্যানিশ উচ্চারণে আর্নেস্তো চে গেভারা) ১৯২৮ সালের ১৪ই জুন আর্জেন্টিনার রোসারিওতে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম আর্নেস্তো গুয়েভারা লিঞ্চ এবং মার নাম সেলিয়া দে লা সারনা।

১৯৪৮ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ বুয়েনস্‌ আয়ার্স এ চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশুনা শুরু করেন। কিন্তু তার ছিল এ পৃথিবীকে জানার ইচ্ছা। তার প্রথম অভিযান ছিল ১৯৫০ সালে ৪৫০০ কিলোমিটার (২৮০০ মাইল) এর একটি যাত্রা। একটি ছোট মোটর লাগানো সাইকেলে করে তিনি একাই উত্তর আমেরিকার গ্রাম্য প্রদেশগুলো ভ্রমণ করেন। ১৯৫১ সালে নয়মাস ব্যাপী দ্বিতীয় অভিযানে তিনি পাড়ি দেন ৮০০০ কিলোমিটার (৫০০০ মাইল)। এই অভিযানে তার সঙ্গী ছিলেন তার বন্ধু আলবার্তো গ্রানাদো। তারা দুজন মোটরসাইকেলে করে পাড়ি দেন আর্জেন্টিনা, চিলি, পেরু, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, পানামা এবং মায়ামির ভেতর দিয়ে সাউথ আমেরিকার প্রায় সবটুকু। এই অভিযানের কাহিনীই বিখ্যাত মোটরসাইকেল ডায়েরি নামে পরিচিত।


৭ জুন, ২০১৩

আরাধ্য আঁধারে

একদিন সত্যি চলে যাব,
          এক প্রচন্ড ঝড়ের রাতে,
হারিয়ে যাব হঠাৎ
          কোন ধবল বজ্রালোকে।

দমকা বাতাস পেরিয়ে
          কোন আপন ঘরের সন্ধানে,
ঝিরিঝিরি বাতাসে যেখানে
          দোল খাবে অলীক প্রজাপতি।

দু'পায়ে কাদামাটি লাগিয়ে
          হেঁটে যাব বহুদূর পথ,
আকাশের প্রান্তে জমে থাকা
          সোনারোদের প্রলোভনে।


৩ জুন, ২০১৩

বস্ত্রবালিকারা

তুমি আমাদের কষ্টের কথা জানতে চাও?
তুমি কি জান কষ্ট কাকে বলে?
কষ্টের রঙ কি জান তুমি?
একবুক স্বপ্ন নিয়ে জীবনে ঠকে যেতে যেতে,
জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো বেচে ফেলতে,
এ কেমন কষ্ট তা কি তুমি বুঝবে কোনদিন?

জানতে চাও আমরা কেমন আছি?
ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকার মানে কি তুমি বুঝবে?
গাড়ি আর হাইরাইজের শহরে বসে,
গ্রামে ফেলে আসা স্মৃতির কাতরতা,
আমার আশায় তাঁদের তাকিয়ে থাকাটা,
তুমি কি অনুভব করতে পারবে?