‘আমি ঘরে ফিরে
এলাম।
গ্লাস ভর্তি
পেপসি, সাথে
কিছু বরফও
ভাসছে।
দুধকে পেপসি
বানানোর মন্ত্র
তাহলে সত্যি
আছে? আমি
দৌড়ে বাইরে
বের হলাম। দারোয়ান
শুধু বলতে
পারল একটা
ছেলেকে সে
শিষ দিতে
দিতে রাস্তা
দিয়ে চলে
যেতে দেখেছে…’
এই লাইনগুলি কতদিন
আগে পড়া?
বারো বছরের
বেশী তো
হবেই।
কিন্তু মনে
হয় যেন
এই সেদিন
পড়েছি।
আমার মস্তিস্ক
এতদিন ধরে
এই লাইনগুলি
সযত্নে সংরক্ষণ
করে চলেছে। কিন্তু
কেন? এই
লাইনগুলি আমাকে
আমার ছেলেবেলায়
ফিরিয়ে নিয়ে
যেতে পারে
এই কি
তার কারণ?
এই লাইনগুলা
তো শুধু
গল্পের লাইন
নয়, এর
সাথে জড়িয়ে
আছে ছোটবেলার
ফেলে আসা
মফস্বল, বাড়ির
ছাদ, স্কুল,
আম্মুর হাতের
মার, পেছনের
পুকুরে পড়ে
যাওয়া টেনিস
বল…আরও
কত কি!
আর হ্যাঁ,
এবং অবশ্যই
একটি ধূসর
মলাটের গল্পের
বই।
বইটির নাম
– ‘মজার ভূত’। লেখক
– ‘হুমায়ূন আহমেদ’। আমাদের অতিপ্রিয়
হুমায়ূন স্যার। যিনি
ভূতের মত
ভয়ঙ্কর একটা
জিনিসের মধ্যেও
মজা ছড়িয়ে
দিয়ে আমার
ছেলেবেলাকে কল্পনার রঙে রঙিন করে
তুলেছিলেন।