পৃষ্ঠাসমূহ

১৮ নভে, ২০১৪

ক্লান্তদিনের শেষে

মেঘঝরা প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটায় মাটি ছোঁয় বিষন্নতা
দূর্যোগের রাতে আশ্রয় খোঁজে নিরুপায় ঘাসফড়িং
ক্ষীন আরও ক্ষীন হয়ে আসে দোয়েলের কণ্ঠস্বর
নিরাপদ বাঁশবাগানে জড়ো হয় চাঁদের ছায়ারা।


১৩ অক্টো, ২০১৪

স্পর্শ সময়

প্রথমে আমি দিন গুনতাম, তারপর সপ্তাহ!
একসময় অবাক হয়ে দেখলাম,
সাতদিনের সপ্তাহের বাঁধনে আর ধরা যাচ্ছেনা সময়টাকে!
অনন্যোপায় হয়ে মাসের সাহায্য নিলাম তারপর।
একদিন মাসের হিসেবও ফুরিয়ে এল,
আমি গুনতে শুরু করলাম বছর।


৭ সেপ, ২০১৪

দেজ্যা ভ্যু

ভেসে বেড়ানো অনুভূতিগুলো আমার খুব চেনা,
যেন কতকালের পরিচিত দেজ্যা ভ্যু।

আবছায়া রাস্তায় একটা নির্মানাধীন হাইরাইজের পাশে,
ডাগর চোখের বৃষ্টি আটকিয়ে মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকে,
তপ্ত দুপুরে পদ্মার চিকচিক করা পানি যেন,
হঠাৎ তার দু'চোখে এসে স্থির হয়।


৩ আগ, ২০১৪

সত্যজিৎ এর 'শতরঞ্জ কি খিলাড়ি'

ফেলুদা সিরিজের 'বাদশাহী আংটি' পড়েছেন আর মনে মনে 'ভুল ভুলাইয়া' জিনিসটা নিজের চোখে দেখার ইচ্ছা হয়নি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। আমিও এর ব্যতিক্রম কিছু ছিলাম না। কিন্তু সাধের সাথে সাধ্য আর সুযোগের মিল ছিল অপ্রতুল। ঘটনাচক্রে সেই লখনৌতে যাবার সুযোগ এসে গেল ২০০৯ সালের মাঝের দিকে।

লখনৌকে বলা হয় 'নবাবদের শহর'। সেখানে পৌঁছেই খেয়াল করলাম যে এই শহর ঠিক আর দশটা শহরের মত নয়। এখানে সব কিছুতেই কেমন যেন একটা 'বাদশাহী' ভাব বিদ্যমান। লোকজন সবাই কথা বলছে উর্দূতে, কাউকে হিন্দীতে কিছু জিজ্ঞাসা করলে একবারে বুঝতে পারে না, দু-তিনবার বলে বুঝাতে হয়। খাওয়া-দাওয়া করা মানেই একটা এলাহী কারবার। বলা হয়ে থাকে যে তৎকালীন আওয়াধ রাজ্য(যার রাজধানী ছিল লখনৌ) থেকেই কাবাবের মত ঢিমে আগুনে রান্না করা খাবারের সূত্রপাত। রাতে খেতে গিয়ে খেলাম আট রকমের মাংসের আইটেম, অনেকগুলোর নামও আমি শুনিনি আগে। শোনা যায়, আওয়াধের শেষ নবাব ওয়াজিদ আলী শাহ্‌'র খাবার ছয়টা আলাদা আলাদা রন্ধনশালা থেকে আনা হত।